বিশ্ববাজারে সোনার মূল্য নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী, অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে ২০২৬ সালে প্রতি ট্রয় আউন্স স্বর্ণের গড় দাম ৪,০০০ ডলারের বেশি হতে পারে। এটি হবে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো স্বর্ণের বার্ষিক গড় মূল্য ৪,০০০ ডলারের ওপরে ওঠা।
স্বর্ণের মূল্য পূর্বাভাস
৩৯ জন বিশ্লেষক ও ব্যবসায়ীর অংশগ্রহণে করা জরিপে দেখা গেছে— ২০২৫ সালে সোনার গড় মূল্য থাকবে ৩,৪০০ ডলার (জুলাই পূর্বাভাস: ৩,২২০ ডলার)
২০২৬ সালে সোনার গড় মূল্য বাড়তে পারে ৪,২৭৫ ডলার পর্যন্ত (পূর্বের পূর্বাভাস: ৩,৪০০ ডলার)
বিশ্লেষকদের মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্রমবর্ধমান স্বর্ণ ক্রয়, বিশ্বব্যাপী ডলারের আধিপত্য কমানোর প্রবণতা, নীতি-নির্ধারকদের প্রতি আস্থাহ্রাস এবং মন্দা আশঙ্কা—সব মিলিয়ে সোনার প্রতি বিনিয়োগকারীদের ঝোঁক আরও বাড়ছে।
এ ছাড়া, মার্কিন সুদের হার কমার সম্ভাবনাও স্বর্ণের বাজারকে সমর্থন দিচ্ছে, কারণ স্বর্ণ একটি নন-ইয়িল্ডিং (অ-ফলনশীল) সম্পদ।
২০২৬ সালে স্বর্ণের বাজারের গতিপ্রকৃতি
বিশ্লেষকরা বলছেন, বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকলেও ২০২৬ সালে বাজার কিছুটা স্বাভাবিক ছন্দে আসতে পারে। তারা মনে করছেন—
কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো রিজার্ভ বৈচিত্র্যের জন্য সোনা কেনা চালিয়ে যাবে
বিনিয়োগকারীরা সোনাকে দীর্ঘমেয়াদি নিরাপদ সম্পদ হিসেবে ধরবে, শুধুমাত্র অনুমানভিত্তিক বিনিয়োগ নয়
রূপার দামেও বড় উত্থানের ইঙ্গিত
জরিপ অনুযায়ী,
২০২৫ সালে প্রতি আউন্স রূপার গড় দাম হতে পারে ৩৮.৪৫ ডলার। ২০২৬ সালে তা বেড়ে যেতে পারে ৫০ ডলার-এ
কেন বাড়ছে স্বর্ণের চাহিদা?
ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা
বাণিজ্য অস্থিরতা
ডলারের প্রতি আস্থা হ্রাস
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বর্ণ কেনা বৃদ্ধি
সুদের হার কমার সম্ভাবনা
বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বার্তা
স্বর্ণকে দীর্ঘমেয়াদি সেফ-হেভেন (নিরাপদ আশ্রয়) হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্য পরিবর্তন ও ডলারের ওঠানামার সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্থানীয় বাজারেও ওঠানামা দেখা যেতে পারে।
